ইংলেন্ড ও আয়ারল্যান্ডে যৌথভাবে ২০২৮ ইউরো আয়োজন করার কথা । কিন্তু তার আগেই ইংল্যান্ড দলের জন্য আসতে পারে দুঃসংবাদ। আর তাই ঘরের মাঠের সেই আসরে যদি ইংল্যান্ড নিজেই না খেলতে পারে, তাহলে কেমন হবে! এমন হুমকি দিয়েই ইংল্যান্ডকে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।

এ ব্যাপরে উয়েফার জেনারেল সেক্রেটারি থোডোর থিওডোরিডিস সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী লিসা ন্যানডিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সে চিঠি ফাঁস করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমস। উল্লেখ্য সেই চিঠিতে কিয়ার স্টারমারের লেবার সরকার কর্তৃক ইংলিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় নতুন রেগুলেটর নিয়োগের প্রস্তাবকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে এবং স্বাধীনতার বিষয়টিতে বিশেষভাবে জোর দোওয়া হয়।

সংস্কৃতি মন্ত্রীকে থিওডোরিডিসের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘খেলাধুলার স্বায়ত্তশাসন এবং প্রতিযোগিতার মধ্যে ন্যায্যতা নিশ্চিতে আমাদের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। যে নিয়ম (সরকারের হস্তক্ষেপ) থেকে সংস্থাকে রক্ষার কাজ করে।’

ইংল্যান্ডে রাজনীতির প্রধান দুটি দল লেবার এবং কনজারভেটিভ পার্টি উভয়ই ব্রিটিশ ফুটবল সংস্থাগুলোতে রেগুলেটর নিয়োগের পক্ষে। তারা মনে করেন, সংস্থাগুলো নিজেদের সব বিষয় ঠিকঠাকভাবে দেখভাল করতে পারছে না। বিশেষ করে ফুটবলের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ক্লাব সমর্থকদের স্বার্থ রক্ষার যুক্তি দেখিয়ে এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে তারা। যা নিয়ে অনেক দিন ধরেই উত্তেজনা চলছে ব্রিটিশ ফুটবলে।

কিন্তু ক্লাব গুলোর রেগুলেটর নিয়োগের বিষয়টি সরাসরি উয়েফা এবং ফিফার নিয়মের পরিপন্থি। কোন দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ ফিফা মেনে নিবে না | যদি কোনো দেশে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ হলে তারা সে দেশের সদস্যপদ স্থগিত করে দেয়। আর এমনটা হলে সে দেশের কোনো জাতীয়, বয়সভিত্তিক এবং দলগুলো ফিফা ও উয়েফা স্বীকৃত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না।

তাই রেগুলেটর নিয়োগের ব্যাপারে উয়েফাকে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসতে পারে ইংল্যান্ডের ওপর। এমন ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, সেজন্য আগেভাগেই ব্রিটিশ সরকারকে এই সতর্কতামূলক চিঠি পাঠাল উয়েফা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts