প্রথম একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটোরিকে হারিয়ে শুরুটাও হয়েছিল দারুণভাবে।
কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই হোঁচট খেতে হয়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটকে। পাকিস্তানের খুররাম শাহজাদ, মুবাশির খানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৭৮ রানে অলআউট যান আফিফরা। তুলনামূলক ল সহজ লক্ষ্য তাড়ায় উসমান খানের ব্যাটে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় পাকিস্তান শাহীনস।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশ এইচপিকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান শাহীনস। প্রথম একদিনের ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে পারভেব হোসেন ইমন ওপেনিংয়ে করলেও এদিন নেমেছিলেন জিসান আলম। তবে তারা দুজনে এক ওভারেরও জুটি করতে পারেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে ৪ রান করা তানজিদ তামিমকে আউট করেন খুররাম।
অপর দিকে আরেক ওপেনার জিসান ফিরেছেন তার পরের ওভারেই। মোহাম্মদ ইমরান জুনিয়রের বলে লেগ বিফোর ফিরেছেন তিনি। পারভেজ ইমন একপ্রান্ত আগলে রাখলেও আফিফ, আকবর আলীরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ১৯ রান করা পারভেজ ইমন। মাত্র ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপাকে পড়ে বাংলাদে দল।
বাংলাদেশ এইচপির হয়ে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছেন কেবল শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মাহফুজুর রহমান রাব্বি এবং আবু হায়দার রনি। কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদের কল্যাণে এইচপিকে থামতে হয় মাত্র ৭৮ রানে। পাকিস্তান শাহীনসের হয়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেন ইমরান জুনিয়র। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন খুররাম, জাহানদাদ খান এবং মুবাশির।
ম্যাচ জয়ের জন্য ৭৯ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় পাকিস্তান শাহীনস। রানের খাতা খুলতে না পারা শাহিবজাদা ফারহানকে বোল্ড করেছেন রিপন মণ্ডল। ১২ রান করা আরেক ওপেনার আব্দুল ফাসিহকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন এই পেসার। তবে উসমান ৪৫ বলে ৩৯ এবং তাইয়্যব তাহিরের ১৭ রানের ইনিংস শাহীনসকে ৮ উইকেটের বড় জয় এনে দেয়।