পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি হঠাৎ করেই ক্রিকেটকে স্থবির করে দিয়েছে। দেশটির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পিএসএল বন্ধ হয়ে গেছে, সেইসঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের তিনটি আসর। তবে সংকট এখানেই শেষ নয়—অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে চলতি মাসের শেষদিকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ নিয়েও।
তবে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, সিরিজটি নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াবে। ২৫ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজ নিয়ে বড় কোনো শঙ্কা দেখছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আপত্তি না আসায়, সিরিজ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী পিসিবি।
জিও সুপার জানিয়েছে, ম্যাচ আয়োজনের সক্ষমতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। দুই বোর্ডের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। পাকিস্তানও তাদের নিরাপত্তা প্রটোকলে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে।
অন্যদিকে, সামা টিভি জানিয়েছে, ২৫ মে থেকেই সিরিজ শুরু হচ্ছে এবং নির্ধারিত ভেন্যুতেই খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ দলও পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি আছে বলে জানানো হয়েছে।
সিরিজটির প্রথম দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদে, আর শেষ তিনটি ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে পৌঁছানোর কথা ২১ মে, লিটন দাসের নেতৃত্বে।
প্রথমে সিরিজে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার পরিকল্পনা থাকলেও, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে এটিকে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে রূপান্তর করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে দুই দলের মধ্যে আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে, যা আইসিসি এফটিপির অংশ নয়। ওই সিরিজ নিয়ে বিসিবি ও পিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় আলোচনা করেছিলেন।
এই সিরিজটি দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক জোরদার করতে এবং বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে