সিলেট টেস্টে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর জবাবে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার প্রথম দিন শেষ করেন উইকেট না হারিয়ে। দৃশ্যপট বদলে যায় দ্বিতীয় দিন সকালেই। বাংলাদেশি পেসারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ে, আর দুর্দান্ত অফ স্পিনে ফাইফার তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

শেষপর্যন্ত ৮০.২ ওভারে অলআউট হয়ে ২৭৩ রানে থামে সফরকারীরা। ফলে প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের লিড নেয় জিম্বাবুয়ে।

রানার আগুন ঝরা শুরু, দ্রুত উইকেট পতন

দিনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে আঘাত হানেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। দিনের তৃতীয় ওভারে শর্ট বল খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন বেন কারেন। এরপর হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া বেনেটকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রানা। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।

এরপর হাসান মাহমুদের দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওয়েলচ। ফলে প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

উইলিয়ামস-মাধেভেরের প্রতিরোধ, এরপর আবার ধস

চাপ সামাল দিতে উইলিয়ামস ও মাধেভেরে গড়েন ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। খালেদের বলে ইনসাইড এজ হয়ে মাধেভেরে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।

এরপর দলের স্কোর যতটা সম্ভব এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। কিন্তু মিরাজের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১০৮ বলে ছয় চার ও দুটি ছক্কায় ৫৯ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

লেজের ব্যাটারদের দৃঢ়তা, লিড বাড়ে

দুইশর আগেই ৬ উইকেট হারালেও, লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় লড়াইয়ে টিকে থাকে জিম্বাবুয়ে। সাতে নামা মায়াভো করেন ৩৫ রান, মুজারাবানি ১৭ আর এনগারাভা অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে। তাদের সংগ্রহে লিড দাঁড়ায় ৮২ রানে।

বাংলাদেশের বোলিং: মিরাজের ম্যাজিক, রানার উজ্জ্বলতা

মেহেদি হাসান মিরাজ ৫ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন। নাহিদ রানা নেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। বাকি দুটি উইকেট ভাগ করে নেন হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ।

প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ এখন রানে পিছিয়ে। টেস্টে ফেরার লড়াইয়ে ব্যাটারদেরই নিতে হবে মূল দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts