হামজা চৌধুরীর অভিষেকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলে যে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে, এবার সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আরও এক প্রবাসী ফুটবলার—সামিত সোম। কানাডার প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসির হয়ে খেলা এই মিডফিল্ডার এরই মধ্যে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে এবার নিজের শেকড়ের টানেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহী তিনি।
সামিত সোমের এই আগ্রহকে বাস্তব রূপ দিতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। জুনের ফিফা উইন্ডোতে তাকে মাঠে নামাতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে তাবিথ আওয়ালের নেতৃত্বাধীন ফেডারেশন। ২৭ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের জন্য বাংলাদেশি জন্ম সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে জোরেশোরে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই তার জন্ম সনদ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে চায় তারা। সময় খুব বেশি না থাকায় পাসপোর্ট তৈরির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে সামিত সোমের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও জন্ম সনদের আবেদন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
পরবর্তী ধাপে কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট প্রস্তুতের কাজ এগিয়ে নিতে চায় ফেডারেশন। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হলেও সমস্যা হবে না বলেই আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন,
“বায়োমেট্রিক দিতে ওনাকে অবশ্যই আসতে হবে। কানাডায় আমাদের মিশনে শুধু পরিচয় দিলেই কাজ হবে। এরপরও যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে।”
এনএসসিও ইতোমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই পুরো প্রক্রিয়ায় কীভাবে ক্রীড়া পরিষদ সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে এখনো কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদেশে থাকা প্রতিভাবান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাথলেটদের খুঁজে বের করতে একটি প্রোপার স্কাউটিং ব্যবস্থা চালু করলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন আরও সমৃদ্ধ হবে। এই জায়গায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সক্রিয় ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।