ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) একটি ম্যাচে সন্দেহজনক আউট ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ম্যাচ সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত ও ঘটনার প্রকৃতি নিয়ে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বোর্ড কর্মকর্তারাও প্রকাশ করেছেন উদ্বেগ ও ক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি জানায়, তারা ক্রিকেটের নৈতিক মান ও খেলোয়াড়দের সততা বজায় রাখাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অসদাচরণের প্রতি রয়েছে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। এমন ঘটনা কেবল খেলার স্পিরিটকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিতর্কের সূত্রপাত হয় গতকাল, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব বনাম শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে। জয়ের জন্য মাত্র ৬ রান দূরে থাকা অবস্থায় শাইনপুকুরের ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে আউট হন, তা নিয়েই মূল বিতর্ক। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্টাম্প ভাঙার আগেই ক্রিজে ব্যাট ফেরানোর চেষ্টা করেন সাব্বির। এরপরও তাকে স্ট্যাম্পিং আউট ঘোষণা করা হয় এবং শাইনপুকুর হেরে যায় ম্যাচটি।
ঘটনার পর বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু) ও টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটি তদন্তে নেমেছে। বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আকু এবং ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি ম্যাচে ঘটে যাওয়া অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) এর সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ জানান, “ম্যাচের শেষ উইকেটের ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি কোনো অভিযোগ ওঠে, তাহলে সেটি আকুর হাতে যাবে।”
বিতর্কিত আউটের ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। এ নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার নাফিস, সাবেক ক্রিকেটার রাজিন সালেহ, এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান ও শামসুর রহমান শুভ সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এমন ঘটনা ক্রিকেট ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে, তাই দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।