দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ঋষভ পান্ত এবং সহকারী কোচ ল্যান্স ক্লুজনার।

ম্যাচ শেষে পান্ত মনে করেন, লখনৌ স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলেছিল। তবে ক্লুজনার একেবারেই ভিন্ন মত প্রকাশ করেন। তার মতে, দল অন্তত ২০-৩০ রান কম করেছে, যার ফলে বোলাররা চাপে পড়ে যায়।

২০৯ রানেও জিততে পারল না লখনৌ
সোমবারের আইপিএল ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ২০৯ রান করে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। মাত্র ৮.১ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছে যায় দলটি। মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, দল আড়াইশ রানের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।

কিন্তু দিল্লির মিচেল স্টার্ক, কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল দুর্দান্ত বোলিং করে লখনৌকে থামিয়ে দেয়।

মার্শ করেন ৩৬ বলে ৭২ রান।

পুরান খেলেন ৩০ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।

ডেভিড মিলার অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ২৯ রান করে।

কিন্তু শেষদিকে আইয়ুশ বাদোনি (৪), শার্দুল ঠাকুর (০) ও শাহবাজ আহমেদ (৯) ব্যর্থ হন, ফলে দল খুব বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি।

আশুতোষ শর্মার ঝড়ে দিল্লির সহজ জয়
ম্যাচটি দিল্লির জন্য কঠিন হওয়ার কথা থাকলেও, আশুতোষ শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিং লখনৌর সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। মাত্র ৩১ বলে ৬৬ রান করে দিল্লিকে ১ উইকেটে সহজ জয় এনে দেন তিনি।

হারের কারণ কী? দ্বিমত পান্ত ও ক্লুজনারের
ম্যাচ শেষে প্রশ্ন ওঠে, লখনৌর পুঁজি যথেষ্ট ছিল কি না?

অধিনায়ক ঋষভ পান্ত বলেন,

“আমাদের ব্যাটাররা ভালো খেলেছে। এই উইকেটের জন্য যথেষ্ট রান তুলেছিল তারা।”

তবে সহকারী কোচ ল্যান্স ক্লুজনার দ্বিমত পোষণ করে বলেন,

“আমরা অন্তত ২০-৩০ রান কম করেছি, যা আমাদের বোলারদের জন্য চাপ তৈরি করেছে।”

তিনি আরও বলেন—

“দিল্লি খুব ভালো ব্যাট করেছে, কিন্তু তারা জয়ের আত্মবিশ্বাস পেয়েছে কারণ আমরা আরও বড় স্কোর করতে পারিনি। উইকেট ছিল দুর্দান্ত, ব্যাটসম্যান ও বোলারদের জন্য কিছু না কিছু ছিল। তবে আমাদের ফিনিশিং আরও ভালো হতে পারত।”

সামনের ম্যাচে কী করবে লখনৌ?
এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টস নিজেদের ব্যাটিং-বোলিং পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts