রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে নতুন যুগের সূচনা হলো। আইপিএল ২০২৪-এর নিলামের আগে ফ্যাফ ডু প্লেসিকে ছেড়ে দিয়েছে দলটি। শুরুতে গুঞ্জন ছিল, ফের অধিনায়কত্ব ফিরে পেতে পারেন বিরাট কোহলি। তবে সেই জল্পনার ইতি টেনে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে রজত পাতিদারের নাম।

কোহলি নন, নেতৃত্ব পেলেন পাতিদার
২০২১ সালে আরসিবির অধিনায়কত্ব ছাড়েন বিরাট কোহলি। এরপর ২০২২ সালে ফ্যাফ ডু প্লেসিকে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এবারের নিলামের আগে ডু প্লেসিকেও ছেড়ে দেয় বেঙ্গালুরু। ফলে দলটির নতুন অধিনায়ক খোঁজার আলোচনা শুরু হয়।

কিছুদিন ধরে গুঞ্জন ছিল, কোহলি নেতৃত্বের দৌড়ে রয়েছেন। তবে তিনি নিজে থেকে কিছু বলেননি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় বেঙ্গালুরু— অধিনায়ক কোহলি নন, দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে রজত পাতিদারের হাতে।

পাতিদারকে কোহলির শুভেচ্ছা
নতুন অধিনায়ক হিসেবে পাতিদার ঘোষিত হওয়ার পর কোহলি তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন—
“অসংখ্য অভিনন্দন তোমাকে! দলকে উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোমার প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। আমি এবং পুরো দল তোমার পাশে আছি। তুমি সত্যিই এই সম্মানের যোগ্য এবং নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে এটা আদায় করে নিয়েছো।”

পাতিদারের অভিজ্ঞতা কেমন?
২০২২ সালের মেগা নিলামের আগে যে তিন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছিল বেঙ্গালুরু, তার একজন ছিলেন পাতিদার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সৈয়দ মুস্তাক আলির ফাইনালেও তুলেছিলেন দলকে। যদিও আইপিএলে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা নেই তার।

আরসিবির অধিনায়কত্ব ইতিহাস
২০০৮ – প্রথম অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় (১৪ ম্যাচ)।
২০০৯ – কেভিন পিটারসেন (৬ ম্যাচের পর অপসারিত)।
২০০৯-২০১০ – অনিল কুম্বলে (৩৫ ম্যাচ)।
২০১১-২০১২ – ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (২৮ ম্যাচ)।
২০১১-২০২১ – বিরাট কোহলি (১৪৩ ম্যাচ, একবার ফাইনালে, তবে শিরোপা জেতাতে পারেননি)।
২০২২-২০২৪ – ফ্যাফ ডু প্লেসি (৪২ ম্যাচ)।
২০২4 থেকে – রজত পাতিদার।
কোহলির দীর্ঘ ১২ বছরের নেতৃত্ব শেষে ফ্যাফ ডু প্লেসির অধিনায়কত্বের অধ্যায়ও শেষ হলো। এবার রজত পাতিদারের নেতৃত্বে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে চায় বেঙ্গালুরু। এখন দেখার বিষয়, পাতিদার তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে কতটা সফল হতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts