বিপিএলে দারুণ শুরু করেছে খুলনা টাইগার্স। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের রেকর্ড গড়া ফিফটিতে ২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় তারা। জবাবে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ঝোড়ো ইনিংস সত্ত্বেও চিটাগাং কিংস ৩৭ রানে হেরে মাঠ ছাড়ে।
খুলনার রেকর্ড গড়া ইনিংস
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার হয়ে শুরুটা করে দেন উইলিয়াম বোসিস্টো ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। বোসিস্টো তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন। ৫০ বলে অপরাজিত থাকেন ৭৫ রান করে। তবে নজর কাড়েন মাহিদুল অঙ্কন। ২২ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় বিধ্বংসী ৫৯ রান করে বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন তিনি।
চিটাগাং কিংসের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ এবং আলিস আল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। তবে তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অভাবেই খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রানের বড় পুঁজি গড়ে।
চিটাগাংয়ের ব্যর্থ তাড়া
২০৪ রানের বড় লক্ষ্যে নেমে ভালো শুরুর আশা করেছিল চিটাগাং কিংস। তবে ব্যর্থ হন ওপেনার নাইম ইসলাম (১২) এবং পারভেজ হোসেন ইমন (১৩)। ওসানে থমাসের এক ওভারেই ১৫ রান নেওয়ার পরও ব্যাটিং অর্ডার নিয়মিত বিরতিতে ভেঙে পড়ে। উসমান খান ১৮ রান করলেও দলের মূল ব্যাটসম্যানরা দ্রুত বিদায় নেন।
৭৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর শামীম হোসেন একাই প্রতিরোধ গড়েন। ৩৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেন। তবে বাকিরা সঙ্গ না দিতে পারায় চিটাগাং ৭ বল বাকি থাকতেই ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বোলিংয়ে খুলনার সাফল্য
খুলনার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন আবু হায়দার রনি। তিনি ৪ উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগাংয়ের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন। এছাড়া দলের ফিল্ডিং ও বোলিং ইউনিট ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী।
ম্যাচের ফলাফল
এই জয়ে বিপিএলে শুভসূচনা পেয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্স। অন্যদিকে, এগারো বছর পর বিপিএলে ফিরে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি চিটাগাং কিংস। ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে মাহিদুল অঙ্কনের রেকর্ড গড়া ইনিংস এবং খুলনার বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সের জন্য।