দুইবার জীবন পাওয়ার পরও তানজিদ হাসান তামিম উইকেটে স্থির থাকতে পারলেও অন্যপ্রান্তে দারুণ ছন্দে ব্যাট করছিলেন সৌম্য সরকার। তাদের ওপেনিং জুটিতে চলমান সিরিজে প্রথমবারের মতো ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১২ এবং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৮ রান সংগ্রহের পর এদিন তানজিদ ও সৌম্য ৫৩ রানের জুটি গড়েন। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন সৌম্য, করেন ২৪ রান। আগের দুই ম্যাচে তার রান ছিল ৩৩ ও ৩৫।
একাধিকবার জীবন পেয়েও আউট হননি তানজিদ
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুই এনে দেন তানজিদ ও সৌম্য। তবে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারাতে পারতো বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে গুলবাদিন নাইবের হাতে ক্যাচ দিলেও তা লুফে নিতে ব্যর্থ হন নাইব। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ গাজারফারের বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন তানজিদ; তবে হাশমতউল্লাহ শাহিদী সেই ক্যাচ মিস করেন।
মিরাজের ওয়ানডেতে শততম ম্যাচ
মেহেদী হাসান মিরাজ আজ ওয়ানডেতে তার শততম ম্যাচ খেললেন। ২০১৭ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকের পর সাত বছরে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১০০ ওয়ানডে খেলা ১৩তম ক্রিকেটার হলেন মিরাজ। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ আরও অনেকেই।
নাহিদ রানার অভিষেক, নেতৃত্বে মিরাজ
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ের সময় কুঁচকির চোটে পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। চোটের কারণে সিরিজের শেষ ওয়ানডে তথা ‘অলিখিত’ ফাইনালে তিনি খেলতে পারছেন না। তার অনুপস্থিতিতে সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে নেতৃত্বে দেখা যাচ্ছে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। শান্তর অনুপস্থিতিতে একাদশে যুক্ত হয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার জাকির হাসান এবং পেসার নাহিদ রানা।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসুম আহমেদ, জাকের আলী অনিক, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা, মুস্তাফিজুর রহমান।