বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা। এদিনের ম্যাচে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে বার্সার জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন রাফিনহা। ম্যাচ শুরুর এক মিনিটের মধ্যেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

বাংলায় এক প্রবাদ রয়েছে: তোর শিল-তোর নোড়া, তোরই ভাঙি দাঁতের গোড়া। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যেন ঠিক এটাই করে দেখাল বার্সেলোনা। বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিল তারা। ৪ বছর আগে যখন এই দু’দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুখোমুখি হয়েছিল, তখন ৮-২ ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল বার্সাকে। সেই সময় বায়ার্ন মিউনিখ দলের কোচ ছিলেন হান্সি ফ্লিক। বর্তমানে তিনিই বার্সেলোনার কোচ। বায়ার্নের এই প্রাক্তন কোচের হাত ধরেই সেই হারের বদলা নিল ইয়ামালরা। এদিনের ম্যাচে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে বার্সার জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন রাফিনহা। ম্যাচের একদম শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেছিল হান্সি ফ্লিকের ছেলেরা।  

ম্যাচ শুরুর এক মিনিটের মধ্যেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রাফিনহা। এরপর ১৮ মিনিটে গোলশোধ করেন বায়ার্নের হ্যারি কেন। যদিও তাঁর আরও একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন বায়ার্নের আরও এক প্রাক্তনী লেওয়ানডস্কি। এরপর ৪৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে বার্সেলোনাকে আরও এগিয়ে দেন রাফিনহা। প্রথমার্ধে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে একই ভাবে আক্রমণাত্মক খেলা খেলতে থাকে বার্সা। ৫৬ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন রাফিনহা। এরপর গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত বার্সেলোনা। 

ম্যাচ শেষে  বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিক বলেন, ‘দল যেভাবে আমার কৌশল বাস্তবায়ন করেছে তাতে আমি খুবই খুশি। আমরা শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলাম এবং সত্যিই ভালো শুরু করেছিলাম, কিন্তু তারপরে কিছুটা লড়াই করতে হয়েছে। তারা সমতা পাওয়ার যোগ্য ছিল, কারণ তারা ভালো খেলেছে। কিন্তু আমরা ফিরে এসেছি এবং আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ম্যাচে আমাদের প্রচুর দখল ছিল। আমি মনে করি আমরা যেভাবে সুযোগ তৈরি করেছি এবং সেগুলি যেভাবে গোলে রূপান্তরিত করেছি, তা অবিশ্বাস্য ছিল।’।।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার ছেলেদের উপর পুরোপুরি সন্তুষ্ট , তারা যেভাবে চাপের সময় লড়াই করেছিল এবং যেভাবে মনোনিবেশ করেছিল তা অসাধারণ। বল ধরে রাখা এবং সঠিক অবস্থান খুঁজে বের করা এটি তাদের সত্যিই একটি গুণ। এটি দেখতে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল।’ জয়ের নায়ক রাফিনহা বলেন,  ‘এই দুর্দান্ত সপ্তাহটি এখনও শেষ হয়নি। আমি এই বার্সার জার্সি গায়ে আমার ১০০ তম ম্যাচ খেলতে পেরে রোমাঞ্চিত। এটি একটি বিশেষ খেলা ছিল এবং আমি এটি সর্বদা মনে রাখব। কিন্তু সময় এসেছে পরের ম্যাচের দিকে নজর দেওয়ার, এর অর্থ কী তা নিয়ে ভাবার – আমরা এখানে ভবিষ্যতে বাস করি, অতীতে নয়।’ উল্লেখ্য, বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে। যা গোটা ফুটবল বিশ্বে এল ক্লাসিকো নামে পরিচিত। রবিবার লা লিগায় মুখোমুখি হবে এই দু’দল।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts