দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে শেষ করা বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি অনিকের দুর্দান্ত জুটিতে দলটি ঘুরে দাঁড়ায়। তাদের প্রতিরোধে বাংলাদেশ দিন শেষে ৮১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস শেষ করে। মিরাজের দৃঢ়তা ও বৃষ্টির বাধায় খেলা আগেভাগেই বন্ধ হয়ে যায়।
সকালে ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৫ চারে ৯২ বলে ৪০ রান করা জয়ের বিদায়ে ভাঙে ৪৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। একই ওভারে মুশফিকুর রহিমও রাবাদার ফুল লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৩ চারে ৩৯ বলে ৩৩ রান করেন।
এরপর লিটন দাসও কেশভ মহারাজের বলে কাইল ভেরেইনার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ১৫ বলে ৭ রান করা লিটনের বিদায়ে বাংলাদেশ দ্রুত ৩ উইকেট হারায়। তবে জাকের আলি ও মেহেদী হাসান মিরাজের প্রতিরোধে বাংলাদেশ দিনটি সামাল দেয়। তারা গড়েন ১৩৮ রানের জুটি, যা সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ।
মিরাজ ৯৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং তাকে সঙ্গ দেন অভিষেক ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা জাকের আলি। জাকের ১০২ বলে ৫৮ রান করে মহারাজের বলে এলবিডব্লিউ হন। এরপর মিরাজের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন নাইম হাসান। মিরাজ সেঞ্চুরির পথে থাকলেও চা বিরতির আগে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আলোক স্বল্পতায় খেলা পুনরায় শুরু হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃতীয় দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ১০৬/১০ (৪০.১ ওভার) – জয় ৩০, রাবাদা ৩/২৬
দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস): ৩০৮/১০ (৮৮.৪ ওভার) – ভেরেইনা ১১৪, তাইজুল ৫/১২২
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস): ২৮৩/৭ (৮৫ ওভার) – মিরাজ ৮৭*, রাবাদা ৪/৩৫