সান্তোসের জার্সিতে কি এটিই ছিল নেইমার জুনিয়রের শেষ ম্যাচ? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল অঙ্গনে। কারণ, বোটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচে হাত দিয়ে গোল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় এই তারকা ফরোয়ার্ডকে।

ম্যাচের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে একটি ফাউলের কারণে প্রথম হলুদ কার্ড পান নেইমার। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬তম মিনিটে গোল করার সময় হাত লাগানোয় ফের হলুদ কার্ড দেখেন, যা পরিণত হয় লাল কার্ডে। ঘটনাটি ঘটে গনজালো এস্কোবারের একটি পাসে। বোটাফোগোর গোলরক্ষক ভিক্টর সেই বল ঠেকিয়ে দিলেও রিবাউন্ডে নেইমার হাত দিয়ে বল জালে পাঠান। ফলাফল—অবশ্যই লাল কার্ড।

এই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরার আগেই নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, তাই প্রশ্ন উঠেছে—এই ম্যাচই কি ছিল তার সান্তোস অধ্যায়ের শেষ দৃশ্য? ক্লাব তাকে রাখবে কি না, এখন সেটিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

লাল কার্ড পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান নেইমার। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড মেনে নিলেও প্রথম কার্ড নিয়ে ছিল তার তীব্র আপত্তি। তিনি লেখেন,
“দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা ঠিক আছে। কিন্তু প্রথমটা? একটা সাধারণ ফাউলে সঙ্গে সঙ্গে কার্ড! রেফারির এমন সিদ্ধান্ত হাস্যকর। রেফারিং ছিল অত্যন্ত বাজে! এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, দয়া করে আমাকে বাড়তি শাস্তি দেবেন না।”

এতকিছুর পরও ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নেইমার। তিনি বলেন,
“গোল করতে গিয়েই ভুলটা করেছি। আমি শুধু আমার সতীর্থদের নয়, ভক্তদের কাছেও ক্ষমা চাইছি। আমি ভুল করেছি, দয়া করে ক্ষমা করে দিন।”

দলের হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিয়েছেন এই তারকা। নেইমারের ভাষায়,
“আমি যদি লাল কার্ড না পেতাম, নিশ্চিতভাবে আমরা তিন পয়েন্ট পেতাম। এই হার এবং পয়েন্ট হারানোর দায় আমার। আমাকে ক্ষমা করুন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts