এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে ইতিহাস গড়ে দেশে ফিরলেও বিশ্রামের সময় মিলল না। আজ (সোমবার) সকালে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা। তারা পুনরায় যোগ দিচ্ছেন ভুটানের ক্লাব পারো এফসি’র ক্যাম্পে। ভুটানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তারা পারোতে পৌঁছেছেন।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে মিয়ানমার থেকে ঢাকায় পৌঁছায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। রাত সোয়া তিনটায় হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব নির্ধারিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, যা চলে প্রায় এক ঘণ্টা। এরপর ঋতু ও মনিকা অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে যান বাফুফে ভবনে। মাত্র দুই ঘণ্টার বিশ্রাম নিয়ে ভোরেই আবার ছুটতে হয় এয়ারপোর্টে ভুটানের ফ্লাইট ধরতে।
বাফুফে জানায়, সংবর্ধনার আয়োজন মধ্যরাতে করতে হয়েছে সময়সীমার কারণে। ঋতুপর্ণা ও মনিকাকে ভোরেই ভুটানে পাঠাতে হতো, কারণ পারো এফসি ক্লাব আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড়দের খেলা শেষের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দলে ফেরত চায়। তাছাড়া, বাংলাদেশ থেকে ভুটানে সপ্তাহে প্রতিদিন ফ্লাইটও নেই—একটি মিস করলেই অপেক্ষা ২-৩ দিন।
বাংলাদেশের মোট ১০ জন নারী ফুটবলার বর্তমানে ভুটানের বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন। ঋতু ও মনিকার মতো রুপনা, মারিয়া ও শামসুন্নাহারও খেলছেন ভুটান লিগে। তবে তাদের ক্লাব ট্রান্সপোর্ট ও থিম্পু এফসি তাদের পাঁচ দিন পর দলে ফেরাবে।
জাতীয় দলের কোচ পিটার বাটলার এই ১০ জনের মধ্যে পাঁচ জনকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডেকেছেন। এরা হলেন—ঋতুপর্ণা, মনিকা, রুপনা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার। অন্যদিকে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রাণী সরকার, সানজিদা আক্তার, মাসুরা পারভীন ও সুমাইয়া আক্তারকে তিনি এই মুহূর্তে বিবেচনায় রাখেননি।
ভুটান লিগে খেলা এই মেয়েদের নিয়ে গঠিত দলই দেশের হয়ে এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে—যা দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক।