আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলকে দলে নিতে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্টার মায়ামি। লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের এই তারকা। আর্জেন্টিনার শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস ও ইএসপিএন নিশ্চিত করেছে বিষয়টি।
ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডি পল স্বল্প মেয়াদে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নাম লেখাতে পারেন। ইতোমধ্যেই ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক জর্জ মাস মাদ্রিদে গিয়ে অ্যাতলেতিকোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। মূল লক্ষ্য, ডি পলকে দলে টেনে মাঝমাঠের শক্তি বাড়ানো। যদিও ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত অ্যাতলেতিকোর সঙ্গে ডি পলের চুক্তি রয়েছে, তবে এক বছর বাকি থাকতেই দল ছাড়তে যাচ্ছেন তিনি।
২০২১ সাল থেকে অ্যাতলেতিকোয় খেলা শুরু করেন ডি পল। সেখানেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে। এখন জাতীয় দলের সতীর্থ মেসির পাশে খেলতে নতুন পথের দিকে এগোচ্ছেন তিনি।
মেসি ২০২৩ সালের জুনে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ক্লাব ও লিগের চেহারাই বদলে যায়। রাতারাতি জনপ্রিয়তা, জার্সি বিক্রি ও টিকিটের চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণে। এরই মধ্যে মেসির নেতৃত্বে দুটি ট্রফি জিতেছে দল, খেলেছে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে। এমন সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আরও শক্তিশালী স্কোয়াড গড়তে এবার ডি পলকে টার্গেট করেছে তারা।
এপি জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই মায়ামির জার্সিতে দেখা যেতে পারে ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে। যদিও তার চুক্তি ও দলবদলের সময় এখনও নিশ্চিত হয়নি, দর কষাকষি চলছে পুরোদমে।
মেসির সঙ্গে এর আগে সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ সার্জিও বুসকেটস, লুইস সুয়ারেজ ও জর্দি আলবাও যোগ দিয়েছেন মায়ামিতে। এই ত্রয়ীর সঙ্গে মেসির দারুণ রসায়ন কাজ করেছে এমএলএসেও। এদের মধ্যে মেসি এমএলএসের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়—বছরে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা, যা লিগের ২১টি দলের সম্মিলিত বেতন বাজেটের চেয়েও বেশি।
এদিকে জর্দি আলবা সম্প্রতি ২০২৭ মৌসুম পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন। তবে বুসকেটস এখনও নতুন চুক্তি করেননি। ফলে যদি তিনি দল ছাড়েন, সেক্ষেত্রে তার জায়গা পূরণে ডি পল হতে পারেন বড় ভরসা।
ডি পল এরই মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ, ২০২১ এবং ২০২৪ কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই মিডফিল্ডার যদি চূড়ান্তভাবে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন, তাহলে মেসির আরও একজন ঘনিষ্ঠ সতীর্থ দলে আসবেন, যা দলের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।