চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা না পেয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে হঠাৎ অবসর নেওয়া মুশফিকুর রহিম ফেরার পরও ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। সর্বশেষ সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৮ রান। পুরো ২০২৪-২৫ মৌসুম জুড়েই টেস্টে তার ফর্ম হতাশাজনক। শেষ চার টেস্টে ব্যাট হাতে মুশফিকের সংগ্রহ মাত্র ১১৫ রান, গড় ১৪.৩৭। কোনো ফিফটিও নেই, সর্বোচ্চ রান ৩৭। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ভূমিকা নিয়ে।
তবে দলের তরুণ সদস্য জাকের আলি অনিক জানিয়েছেন, মুশফিককে নিয়ে দলের মধ্যে কোনো অতিরিক্ত চাপ নেই। বরং, সবারই পারফর্ম করতে হবে—এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টের আগের সংবাদ সম্মেলনে জাকের বলেন,
“দলে তো উনি (মুশফিক) একা খেলছেন না। উনারই যে রান করতে হবে…রান সবারই করতে হবে। হয়তো উনি করছেন না, এটা যে কারও সঙ্গেই হতে পারে। উনারই যে প্রতিদিন রান করতে হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।”
শুধু মুশফিক নয়, পুরো দলই ব্যাটিং নিয়ে সংগ্রামে আছে। বিশেষ করে দেশের মাটিতে টেস্টে জয়ের খরা দীর্ঘ। বিদেশে কিছু সাফল্য এলেও, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ পারছে না সেরা পারফরম্যান্স দিতে। এই প্রেক্ষাপটেই আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ঘুরে দাঁড়াতে চায় দল।
এদিকে, সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর, জাকের আলি নিজে কম খেলেছেন এবং বেশি বল খেলতে সুযোগ দিয়েছেন হাসান মাহমুদকে। বিষয়টি নিয়ে জাকের বলেন,
“৭ উইকেট যাওয়া মানে আরও ৩টি উইকেট আছে। যেহেতু আমরা টার্গেট দিচ্ছি, তার মানে একেকটি রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। হাসান কিন্তু ৫৮ বল খেলেছে। ৩৭ রানের পার্টনারশিপ হয়েছে। ওটার মধ্যে যদি হাসানই ৩৭ রান করে, আমার কোনো সমস্যা নেই।”
টেল-এন্ডারদের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন জাকের। বলেন,
“ডমেস্টিক ও বয়সভিত্তিক সময় থেকেই এভাবে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। ডমেস্টিকেও ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করতাম। এরকম খেলেই অভ্যস্ত। এই প্র্যাকটিস আগে থেকেই ছিল। এ কারণেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করতে ৫ বছর লেগেছে। এগুলো হবেই। এই কঠিন জিনিস সামলেই পথচলা।”
বড় ইনিংস না খেলতে পারলেও নিজের ভূমিকায় আশাবাদী জাকের। তার বিশ্বাস, দলের প্রয়োজনে যে কোনো ভূমিকা পালন করতেই প্রস্তুত তিনি।