ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুতেই সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা। উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই ভেন্যুতে এত রান তাড়া করে কোনো দল জয় পায়নি।
সৌম্য-মিরাজের লড়াকু জুটি
তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস দ্রুত আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। আলজারি জোসেফের প্রথম ওভারেই দুজনই শূন্য রানে ফেরেন। তবে সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মিরাজ দৃঢ়তার সঙ্গে পাল্টা আক্রমণ করেন।
১৩৬ রানের জুটি গড়ে তারা দলকে বিপদমুক্ত করেন। সৌম্য ৭৩ বলে ৭৩ রান করে আউট হন গুড়াকেশ মোতির বলে। অন্যদিকে, মিরাজ ক্যাপ্টেনস ইনিংস খেলে ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এটি চলতি সিরিজে তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
মাহমুদউল্লাহ ও জাকেরের স্বপ্নময় ফিনিশিং
পঞ্চম উইকেটে ১৭১ রানে মিরাজ ও আফিফ আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও ৩৮তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর ছক্কায় রান দুইশ ছাড়ায়। এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান তোলার গতি বাড়ান তারা।
জুটিতে ৮০ রানের বেশি যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান। অন্যদিকে, জাকেরও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর বড় করতে সহায়তা করেন।
ব্যর্থ আফিফ, দুর্ভাগ্যজনক রান আউট মিরাজের
রোমারিও শেফার্ডের সরাসরি থ্রোতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন মিরাজ। এরপর শর্ট বল পুল করতে গিয়ে রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ রানে ফিরতে হয় আফিফকে।
শেষ ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ
সিরিজ বাঁচাতে সেন্ট কিটসে শেষ ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ। একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়। তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, ও হাসান মাহমুদ দলে জায়গা পান। তাদের জায়গায় বাদ পড়েন তানজিম সাকিব, নাহিদ রানা, ও শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশের একাদশ
সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ।