২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হতাশায় ডুবেছিল ভারতীয় সমর্থকরা, কিন্তু ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে সেই আক্ষেপ কিছুটা ভুলেছে ভারত। পরবর্তীতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও শিরোপা জিতেছে ভারত। তবে সেই জয়ের রাতেই উত্তর প্রদেশের এক পরিবারে নেমে আসে শোক, যেখানে প্রিয়ানশি নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী মারা যায়। পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ায়, বিরাট কোহলির আউট দেখে মানসিক আঘাত পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে তার পরিবার এ গুজব পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে।
পরিবারের ব্যাখ্যা
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-কে প্রিয়ানশির বাবা অজয় পান্ডে জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস দেখার পর তিনি বাজারে যান, তখনই ফোনে জানতে পারেন তার মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি স্পষ্টভাবেই বলেন,
“আমার মেয়ের মৃত্যুর সঙ্গে বিরাট কোহলির আউটের কোনো সম্পর্ক নেই। যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন ভারত ভালোই খেলছিল এবং কোহলি তখনও ব্যাটিংয়ে নামেননি।”
কিভাবে গুজব ছড়াল?
প্রিয়ানশির আকস্মিক মৃত্যুর পরপরই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, সে কোহলির আউট সহ্য করতে পারেনি এবং হার্টঅ্যাটাক হয়। এমনকি কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে বিষয়টি প্রচার করে। তবে তার পরিবার এই দাবিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনালের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
৯ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২৫০-এর বেশি রান তোলে। ভারত শক্তিশালী শুরু করে—দুই ওপেনার ১৮.৪ ওভারে ১০৫ রান যোগ করেন। এরপর শুভমান গিল ৩১ রানে আউট হন। মাত্র এক রানের ব্যবধানে কোহলিও এলবিডব্লু হন মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে।
এরপরও ভারত পরিস্থিতি সামাল দেয়। রোহিত শর্মা ৭৬ রান করেন, শ্রেয়াস আইয়ার করেন ৪৮। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হাতে রেখেই ভারত শিরোপা নিশ্চিত করে।
সত্য-মিথ্যার বিভ্রান্তি
এই ঘটনায় প্রমাণ হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের গুজব কীভাবে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরিবার স্পষ্টভাবে গুজব উড়িয়ে দিলেও, অনেকেই সেটি সত্যি বলে ধরে নেয়। প্রিয়ানশির মৃত্যু দুঃখজনক, তবে এর সঙ্গে কোহলির আউটের কোনো সম্পর্ক নেই—এটাই সত্য।