আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বড় পরাজয়ের পর থেকেই কানাঘুষা চলছিল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কখনোই এক ম্যাচে ৪ গোল খায়নি। আর্জেন্টিনার মাটিতে সেই লজ্জাজনক পরাজয়ের পরই কোচ দরিভাল জুনিয়রের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অবশেষে এক সপ্তাহ পার না হতেই ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) দরিভালকে বরখাস্ত করেছে।
১৪ মাসেই শেষ দরিভাল অধ্যায়
৬২ বছর বয়সী দরিভাল জুনিয়র ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি ব্রাজিলের ২৭টি ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন।
তার প্রথম ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে ব্রাজিল ১-০ গোলে জয় পায়। এরপর স্পেনের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করে দরিভাল জনপ্রিয়তা পান। তবে এরপর থেকে তার অধীনে পারফরম্যান্স নিম্নমুখী হতে থাকে।
সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি
দরিভালের সময়ে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স মোটেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
📉 কোচ হিসেবে দরিভালের কিছু হতাশাজনক রেকর্ড:
কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়
১৬ বছরে প্রথমবার প্যারাগুয়ের কাছে হার
প্রথমবার হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ফরম্যাটে আর্জেন্টিনার কাছে দুই লেগেই হার
দরিভালের অধীনে ব্রাজিল ১৬টি ম্যাচ খেলে ৭টি জয়, ৬টি ড্র এবং ৩টি পরাজয় বরণ করে।
সিবিএফের বিদায় বার্তা
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) এক বিবৃতিতে দরিভালকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছে—
“ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ঘোষণা করছে যে, কোচ দরিভাল জুনিয়র আর ব্রাজিলিয়ান জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকবেন না। ম্যানেজমেন্ট তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে এবং তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য সাফল্য কামনা করছে। এখন থেকেই সিবিএফ তার একজন বিকল্প খুঁজে বের করার জন্য কাজ শুরু করবে।”
টানা তিন কোচ পরিবর্তন
২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেওয়ার পর ব্রাজিলের কোচের দায়িত্ব ছাড়েন তিতে, যিনি ছয় বছরের বেশি সময় দায়িত্বে ছিলেন। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রামোন মেনেজেস পাঁচ মাস এবং ফার্নান্দো দিনিজ ছয় মাস দায়িত্বে ছিলেন। দরিভাল ছিলেন ১৪ মাস, তবে দীর্ঘমেয়াদে টিকতে পারেননি।
এখন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন নতুন কোচ খোঁজার কাজে নেমেছে, যিনি দলকে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করতে পারবেন।