দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্টে ব্যাট হাতে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। পুরো ইনিংসে টেস্ট ক্রিকেটের উপযোগী ব্যাটিং দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়, তবে তার এই ইনিংসও ছিল বিপর্যয়ের মাঝে ক্ষণিক স্বস্তির মতো। মাত্র দুই সেশনে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস, যেখানে ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি টাইগাররা।
বাংলাদেশের রান ১০০ পেরিয়েছে মূলত তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসানের ২৬ রানের জুটির কারণে। কিন্তু এর আগে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় খেলা হয়ে উঠেছিল দর্শকদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাতে মন্থর উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের জন্য আক্ষেপ করতে সময় লাগে মাত্র ৭ ওভার।
শুরুর ধাক্কা আসে সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর দ্রুত বিদায়ের মাধ্যমে। সাদমান অফস্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হন, মুমিনুল ফিরে যান অতিরিক্ত সুইংয়ের শিকার হয়ে, আর শান্তর আউট নিয়ে হয়তো তিনিই ভাবতে পারেন কী ভুল করেছিলেন। তিনজনকেই আউট করেন উইয়ান মুল্ডার। এরপর কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন পরের দুই উইকেট। মুশফিকুর রহিম তার ইনসুইং বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁকে উইকেট হারান, আর লিটন কুমার দাস স্লিপে ট্রিস্টান স্টাবসের হাতে ক্যাচ দেন।
মিডল অর্ডারে জয় ও মুশফিক ছাড়া আর কেউই ডাবল ডিজিটে পৌঁছাতে পারেননি। জয় ও মুশফিক মিলে ৮ ওভারে ১৯ রানের ছোট একটি জুটি গড়েন। মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ১৩ রান, তবে কেশব মহারাজের আর্ম বলে এলবিডব্লিউ হন।
লাঞ্চের পর জয় ৯৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসটি শেষ করেন ডেইন পিটের বলে বোল্ড হয়ে। তার ইনিংসের পরপরই অভিষিক্ত জাকের আলী অনিক কেশব মহারাজের বলে স্টাম্পড হন। শেষদিকে নাইম ও তাইজুলের জুটি বাংলাদেশের স্কোরকে ১০০ পার করিয়ে দেয়। তাদের ২৬ রানের জুটি ছিল বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে মুল্ডার, রাবাদা ও মহারাজ প্রত্যেকে ৩টি করে উইকেট নেন, আর একটি উইকেট নেন ডেইন পিট।