বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মিরপুরে বিসিবির প্রধান কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে আসা তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল।

অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, “আমরা দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিসিবিতে এসেছি একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। মূল অভিযোগ ছিল—বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে খেলোয়াড় বাছাইয়ে দুর্নীতি, অবৈধ আর্থিক লেনদেনসহ নানা অনিয়ম। সেই কারণেই মূলত আজকের এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়েছে।”

অভিযানে বিপিএলের টিকিট বিক্রির অর্থ নিয়েও অনুসন্ধান করা হয় বলে জানান তিনি।

আজ শনিবার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, “যেদিন দুদক বিসিবিতে অভিযান চালায়, সেদিনই আমি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা পুরোপুরি সহযোগিতা করবো। দুদক যেসব নথিপত্র চেয়েছে, সেগুলো নিয়ে সিইও ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “তদন্তে যদি কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, আমরা সেটা ধামাচাপা দেব না। বরং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি সিইওকে নির্দেশ দিয়েছি, তদন্ত কর্মকর্তারা যেকোনো তথ্য চাইলে যেন তা দ্রুত সরবরাহ করা হয়। সত্য উদ্ঘাটিত হলে শাস্তির ক্ষেত্রে আমরা কোনো ধরনের দ্বিধা করব না।”

বিসিবির পক্ষ থেকে এমন অবস্থান ইতিবাচক বলে মনে করছেন ক্রীড়ামহল। অনেকেই বলছেন, এই অভিযান ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts