ইনজুরি থেকে ফিরেই প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি জস বাটলার; প্রথম ম্যাচে গুড়াকেশ মোতির অসাধারণ ক্যাচে গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বরূপে ফিরেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩১ বল হাতে রেখে সাত উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
ব্রিজটাউনে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি ছাড়াই আট উইকেটে ১৫৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের হয়ে জবাব দিতে নেমে ৪৫ বলে ৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বাটলার। ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ফিল সল্ট গোল্ডেন ডাক মারেন, আকিল হোসেনের শিকার হয়ে ফিরতে হয় আগের ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ানকে। এরপর বাটলার ও উইল জ্যাকসের মধ্যে ১২৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ৭২ বলের এই জুটি ভাঙে, যখন জ্যাকস ২৯ বলে ৩৮ রান করে আউট হন।
এরপর বাটলার রোমারিও শেফার্ডের বলে বিদায় নেওয়ার আগে ৪৫ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কার সাহায্যে ৮৩ রান করেন। টি-টোয়েন্টিতে এটি ছিল তার ২৯তম হাফ সেঞ্চুরি। লিয়াম লিভিংস্টোন ১১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। তার সঙ্গী ছিলেন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান জ্যাকব বেথেল, যিনি ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৮০ রান তুলতেই হারায় পাঁচ উইকেট। তবে অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ডের ইনিংসে মাঝারি পুঁজি পায় দলটি। পাওয়েল ৪১ বলে ৪৩ রান করেন, আর শেফার্ডের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২২ রান। নিকোলাস পুরান করেন ২৩ বলে ১৪ রান এবং রস্টন চেজ ৭ বলে ১৩ রান করেন। শেষদিকে ম্যাথু ফোর্ড অপরাজিত ছিলেন ৬ বলে ১৩ রানে।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সাকিব মাহমুদ, লিয়াম লিভিংস্টোন ও ডেন মাউসলি দুটি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান বিধ্বংসী ইনিংস খেলা বাটলার। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ নভেম্বর।