বাংলাদেশ ক্রিকেটে বইছে পালাবদলের হাওয়া। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দেওয়া তারকারা একে একে বিদায়ের পথে। ২০২৫ সালেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে মুশফিক কেবল টেস্ট খেলছেন। আর সাকিব আল হাসান নতুন করে গড়া দলে সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে দলের পারফরম্যান্সে। ধারাবাহিক বাজে খেলায় আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ম স্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ। সদ্য প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে চার রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে টাইগাররা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে। এর ফলে বাড়ছে আরেকটি বড় শঙ্কা—২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কমছে।
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় সাময়িকী উইজডেনের তথ্যমতে, ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকা দলগুলোই সরাসরি জায়গা পাবে বিশ্বকাপে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে স্বাগতিক হওয়ায় তারা সরাসরি খেলবে)। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যদি সেরা আটে থাকে, সেক্ষেত্রে ৯ম দলটিও সরাসরি অংশ নিতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশ বর্তমানে রয়েছে ১০ম স্থানে।
অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছে ওয়ানডে ম্যাচ কমে যাওয়ায়। ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় ওয়ানডে খেলার সুযোগ কমে আসবে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ওয়ানডে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতেও দেখা যেতে পারে।
তবে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মার্চের আগে বাংলাদেশ খেলবে ২৯টি ওয়ানডে। এর মধ্যে ৮টি ম্যাচে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। বাকি ২১টি ম্যাচে লড়তে হবে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। এসব সিরিজ সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য।
এই কঠিন সময় পেরিয়ে ভালো ফল না করতে পারলে বাংলাদেশকে পাড়ি জমাতে হতে পারে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে।
উল্লেখ্য, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আফ্রিকার তিন দেশে—দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া এবং জিম্বাবুয়ের মাটিতে। এই আসরে ১৪টি দল অংশ নেবে।