১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইতিহাস গড়ার দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতে সোবহানা মোস্তারি ও দিলারা আক্তার তুলে নেন ১০৩ রান, যা টাইগ্রেসদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। তবে এই সাফল্যের পরও মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১২ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬৯ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক গ্যাবি লুইস ও লিয়াহ পলের ব্যাটে ভর করেই আইরিশ মেয়েরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে সংগ্রহ করে এই রান।
গ্যাবি-লিয়াহর রেকর্ড জুটি
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম উইকেট দ্রুত হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে প্রেন্ডারগাস্টের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন গ্যাবি লুইস। তবে প্রকৃত ঝড় উঠে তৃতীয় উইকেটে। লিয়াহ পলকে নিয়ে ১০৭ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন আইরিশ অধিনায়ক। ৪২ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন লুইস, যেখানে ছিল সাতটি চার ও দুইটি ছক্কা। অন্যদিকে লিয়াহ পল ছিলেন আরও বিধ্বংসী, ৪৫ বলে ৭৯ রান করেন, তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও দুইটি ছক্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে ফারিহা তৃষ্ণা ও জান্নাতুল ফেরদৌস দুটি করে উইকেট নেন, তবে বড় রান ঠেকানোর মতো বোলিং পারেনি স্বাগতিকরা।
সোবহানা ও দিলারার দুর্দান্ত শুরু
রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে অসাধারণ শুরু করে টাইগ্রেসরা। সোবহানা মোস্তারি ৩৫ বলে ৪৬ এবং দিলারা আক্তার ৪১ বলে ৪৯ রান করেন। ১০৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে বাংলাদেশকে দারুণ অবস্থানে এনে দেন তারা।
মধ্যপর্যায় থেকে পতনের শুরু
১০৩ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফেলে আরও দুটি উইকেট। সোবহানা ও দিলারার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও বড় কিছু করতে ব্যর্থ হন। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ধাক্কা খায় রান তাড়ার গতি।
শেষ ৬ বলে ১৮ রানের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, তবে শারমিন আক্তার সুপ্তার ১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রানও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে।
আইরিশ পেসারদের সাফল্য
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে মার্শা রিচার্ডসন ও আরলিন কেলি দারুণ বোলিং করেন। দলীয় সাফল্যে তাদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
সিরিজে এগিয়ে আয়ারল্যান্ড
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের মেয়েদের পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ব্যাটিং ইউনিটকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।