সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৫ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে টাইগাররা। তিনটি হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে তোলে ২৯৪ রান। জবাবে ক্যারিবীয়রা ৮.১ ওভারে মাত্র ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে।
তিন হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
তানজিদ হাসান তামিম (৬০), মেহেদী হাসান মিরাজ (৭৪), এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (৫০*) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলীর (৪৮) ৯৬ রানের জুটি দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেয়। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহর ছক্কা এবং হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে টাইগাররা নির্ধারিত ওভার শেষে ২৯৪ রান তুলে নেয়।
জাকের আলী ৪৮ রান করলেও হাফ সেঞ্চুরির আগেই আউট হন। মিরাজ ও আফিফ হোসেনের (২৮) মিলে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ এবং মিরাজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও বড় স্কোর গড়তে ভূমিকা রাখে।
তানজিদের দারুণ হাফ সেঞ্চুরি
ইনিংসের শুরুতে সৌম্য সরকারের ১৯ রানের পর তানজিদ হাসান তামিম একদিকে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান। ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি, যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয়। মিরাজের সঙ্গে তার ৭৯ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ একশ ছুঁয়েছিল। তবে ৬০ রানে তানজিদ আউট হলে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়ে।
তিনে ব্যর্থ লিটন দাস, সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ
নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন। মাত্র ২ রান করে রোমারিও শেফার্ডের বলে উইকেটকিপার শাই হোপকে ক্যাচ দেন। তবে অধিনায়ক মিরাজ ব্যাট হাতে দারুণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন।
ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং বিপর্যয়
বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ক্যারিবীয়দের চাপে রাখেন। অষ্টম ওভারে তানজিম হাসান সাকিব ব্র্যান্ডন কিংকে এলবিডব্লিউ করে প্রথম সাফল্য এনে দেন। পরের ওভারে নাহিদ রানা এভিন লুইসকে এলবিডব্লিউ করে বিদায় করলে ক্যারিবীয়রা আরও বিপাকে পড়ে। ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তারা।
বাংলাদেশের একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, এবং নাহিদ রানা।