মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। এতে ইনিংস হারের শঙ্কা কেটে গিয়ে লিডও পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ছোট লক্ষ্য নিয়ে লড়াইয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি বোলাররা। মাত্র ২২ ওভারে বাংলাদেশের দেওয়া ১০৬ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৮ রান করে ২০২ রানের বড় লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩০৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ফলে প্রোটিয়াদের সামনে মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়, যা তারা ২২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তাড়া করে।
ছোট লক্ষ্য নিয়ে বোলিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি আক্রমণাত্মকভাবে ইনিংস শুরু করেন। ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। দশম ওভারের পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে খানিকটা ঘূর্ণি নিয়ে মার্করামের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তাইজুল। ২৭ বলে ২০ রান করেন তিনি।
এরপর জর্জি ৪১ রান করে ফেরেন, তাকেও ফেরান তাইজুল। পরবর্তী ব্যাটার ডেভিড বেডিংহামও তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে বেডিংহাম করেন ১৩ বলে ১২ রান।
তাইজুল ৩ উইকেট নিয়ে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও প্রোটিয়া ব্যাটাররা শেষ পর্যন্ত সহজ জয় নিশ্চিত করে। ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ৩৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে দিনের শুরুতেই কাগিসো রাবাদার বলে নাঈম হাসান আউট হন ১৬ রানে। রাবাদা ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ধস নামান। শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ৯৭ রানে লড়াই করলেও সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রানের দূরত্বে আউট হন। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ায় বাংলাদেশ ৩০৭ রানে গুটিয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ১০৬/১০ (৪০.১ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস): ৩০৮/১০ (৮৮.৪ ওভার)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস): ৩০৭/১০ (৮৫ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা (লক্ষ্য ১০৬ রান): ১০৭/৩ (২২ ওভার)