আইপিএলের ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং। রাজস্থান রয়্যালসের ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ক্রিকেটপ্রেমীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই দাবি তুলেছেন, হরভজনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
কী ঘটেছিল?
রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় আর্চারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন হরভজন।
রাজস্থানের হয়ে চার ওভারে ৭৬ রান দিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েন আর্চার। তখন ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা হরভজন বলেন—
“লন্ডনের কালো ট্যাক্সির মিটার যেমন দ্রুত বাড়ে, তেমনই আর্চারের রান দেওয়ার মিটার চড়চড় করে বাড়ছে।”
এই মন্তব্য অনেকেই বর্ণবিদ্বেষী হিসেবে দেখছেন, কারণ আর্চার কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার এবং তাকে উদ্দেশ্য করে ‘কালো ট্যাক্সি’র প্রসঙ্গ টানা হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের শাস্তির মুখে হরভজন?
বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা ক্রিকেটের কঠিন শৃঙ্খলাভঙ্গের মধ্যে পড়ে। ফলে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) হরভজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। এমনকি আইপিএলের ধারাভাষ্যকার তালিকা থেকেও তাকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
এর আগে ইরফান পাঠানকেও ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগে ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এবার হরভজনের ক্ষেত্রেও একই পরিণতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগেও বিতর্কে ছিলেন হরভজন
এই প্রথম নয়, হরভজন সিং অতীতেও বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন।
🔹 ২০০৮ সালে ‘মাঙ্কিগেট’ কাণ্ড: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে ‘মাঙ্কি’ (বাঁদর) বলে অপমান করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এতে তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল।
🔹 আইপিএলে শ্রীসন্থকে চড় কাণ্ড: ২০০৮ সালে আইপিএলের ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটার এস শ্রীসন্থকে মাঠেই চড় মেরেছিলেন হরভজন। সেই ঘটনাও আলোড়ন তুলেছিল ক্রিকেট বিশ্বে।
হরভজনের অবস্থান
এখনও এই বিতর্ক নিয়ে হরভজন সিং কোনো মন্তব্য করেননি, একইভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে রাজস্থান রয়্যালস যদি অভিযোগ করে কিংবা বিতর্ক বাড়তে থাকে, তাহলে বিসিসিআই কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।