পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স দলে একত্রিত হয়েছেন তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার—সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। যদিও সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা, তবুও এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে পাশে পাচ্ছেন তরুণ দুই সতীর্থ।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে, বাংলাদেশ সময় ৯টায় লাহোরের ঘরের মাঠে পিএসএলের এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে লাহোর কালান্দার্স ও করাচি কিংস। এটি কার্যত ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ—হেরে গেলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়, জিতলে মিলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ।
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’-এর সঙ্গে কথা বলেন সাকিব আল হাসান। লাহোরের হয়ে খেলা ও করাচির বিপক্ষে লড়াই নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন,
“আমি পিএসএলে এর আগেও খেলেছি। প্রতিবারই এখানে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত ১০ বছরে টুর্নামেন্টটি অনেক উন্নত হয়েছে। করাচির বিপক্ষে জয় ছাড়া আমাদের আর কোনো লক্ষ্য নেই। তারা ভালো দল, তাই নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।”
দলের ড্রেসিংরুমে বাংলাদেশের দুই সতীর্থের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত প্রতিপক্ষদেরও সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন সাকিব। লাহোরের তারকা পেসারদের নিয়ে তিনি বলেন,
“আমি আগেও শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফদের বিপক্ষে খেলেছি। এবার একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করছি। এটা ভালো অভিজ্ঞতা এবং একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ।”
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এখনো ক্রিকেটে সক্রিয় সাকিব। সাম্প্রতিক সময়ে বোলিং অ্যাকশনের সমস্যা, মাঠের বাইরে সময় এবং জাতীয় দলে ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এসব নিয়েও কথা বলেন তিনি,
“দীর্ঘ বিরতির পর ক্রিকেটে ফিরলে অনুভূতিটা দারুণ হয়। তবে শরীর কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সামনে কিছু ভালো ম্যাচ কাটবে বলে আশা করছি।”
পিএসএলের চলমান আসর শেষ হবে ২৫ এপ্রিল। এরপরই ২৮ মে থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজ নিয়েও আশাবাদী সাকিব,
“পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ সবসময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। দুই দলে এখন অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। আশা করি তারা নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে মুখিয়ে থাকবে।”
সাকিব-মিরাজদের আজকের ম্যাচটি শুধুই একটি খেলা নয়—এটি বাঁচা-মরার লড়াই। এখন দেখার বিষয়, লাহোর কালান্দার্স কি পারবে ফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে।