মুলতানে প্রথম টেস্টে হারার পর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে পাকিস্তান। এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন পাকিস্তানের দুই স্পিনার নোমান আলী ও সাজিদ খান, যাদের মিলিত প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডের ২০টি উইকেটই শিকার হয়। পাকিস্তান তাদের এই স্পিন নির্ভর কৌশল রাওয়ালপিন্ডিতেও অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করেছে।

রাওয়ালপিন্ডির উইকেট সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হলেও, টেস্টের সময় যত গড়ায়, ততই স্পিনারদের জন্য সুবিধা বাড়তে থাকে। পাকিস্তান এবারও স্পিন বান্ধব উইকেট তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। মাঠ প্রস্তুতকারীরা উইকেট শুকাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যান ও আউটডোর হিটারের ব্যবহার করছেন, যা থেকে স্পষ্ট যে তারা স্পিনারদের জন্য আদর্শ উইকেট তৈরি করতে চাইছেন।

এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডও তাদের একাদশে বেশ পরিবর্তন এনেছে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য তারা তিনজন স্পিনারকে দলে রেখেছে। আগের ম্যাচের একাদশে থাকা শোয়েব বাশির এবং জ্যাক লিচের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে তরুণ স্পিনার রেহান আহমেদকে। রেহান এর আগে ভারতের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট খেলেছেন, তবে সেসব ম্যাচে বল হাতে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি। এবার রাওয়ালপিন্ডিতে তার ওপর অনেক প্রত্যাশা থাকবে।

রেহান ছাড়াও দলে ফিরেছেন গাস অ্যাটকিনসন, যিনি প্রথম টেস্টে ১৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে মুলতানে দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন না তিনি। অ্যাটকিনসনের ফেরায় বিশ্রাম দেয়া হয়েছে ব্রাইডন কার্স ও ম্যাথু পটসকে। কার্স প্রথম দুই টেস্টে ২৪.৩৩ গড়ে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন, কিন্তু টানা দুটি টেস্ট খেলে ৬৭ ওভার বোলিং করায় তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।

ইংল্যান্ডের একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ, গাস অ্যাটকিনসন, রেহান আহমেদ, জ্যাক লিচ, শোয়েব বাশির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts