সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল । গ্রুপ-পর্বে তিন ম্যাচে জয়ের পর সেই স্বপ্ন কিছুটা যেন সত্যি হয়েছে। কিন্তু সুপার এইটের আগে টাইগারদের দলের প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন সুপার এইটে যা হবে সবই বাংলাদেশ দলের জন্য ‘বোনাস’।
তবে সুপার এইটের দুই ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এখনও বোনাসের দেখা মেলেনি বাংলাদেশের। উল্টো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর ভারতের বিপক্ষেও ৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ পেল টাইগাররা। এর ফলে সেমি ফাইনালের ওঠার স্বপ্নও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ভালো বোলিং ও ব্যাটিং কোনোটিই করতে পারেননি।
কিন্তু ম্যাচ হারের পর ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই বড় কারণ মনে করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশেষ করে প্রথম ৬ ওভারে যেমনটা প্রত্যাশা করেছে সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ দল ব্যাটিং করতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি। যদিও কন্ডিশন ও বাতাসকে ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে চান না তিনি।
ম্যাচ শেষে শান্ত আরো বলেন, ‘আমাদের প্রথম ৬ ওভারে আরও ভালো ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন ছিল। আমি চেষ্টা করেছি দলের জন্য ভালো একটা অবদান রাখার। কিন্তু আমার ম্যাচ শেষ করে আসা উচিত ছিল। তানজিম হাসান সাকিব পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আমি রিশাদের পারফরমেন্সও আনন্দিত। যেহেতু আমরা অনেকদিন ধরে একজন ভালো লেগ স্পিনারের খোঁজে ছিলাম।
এর আগে ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। তার বোলিং নেয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেক আলোচনা- সমালোচনা হয়েছে। বোলিং নেয়ার পর ভারতকে ১৫০-১৬০ রানের মধ্যে আটকে দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্ত সেটা হতে দেননি ভারতের ব্যাটসম্যানরা। এরপর ১৯০ রানের বিসাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে সেই মানসিকতাই দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ।
যার ব্যাখ্যা স্বরুপ শান্ত বলেছেন, ‘যখন তাদের আমরা ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠাই তখন মনে হচ্ছিল ১৫০-১৬০ হবে। তবে তারা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। তাদের বিশেষ কৃতিত্ব দিতে হবে। আমার মনে হয় না মাঠের কন্ডিশন ও বাতাস কোনো কারণ হবে। আমাদের প্লেয়াররা এই আবহাওয়ার সঙ্গে অভ্যস্থ। আমরা ব্যাট হাতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারিনি যখন আমরা ১৯০ রানের এতো বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমেছি।