শেষ পর্যন্ত জাকের আলী ও তাসকিন আহমেদ মিলে বাংলাদেশকে আড়াইশোর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। ইনিংসের শেষ দিকে জাকের ৫৫ বলে ৪৫ রান করে রান আউট হন। এরপর তাসকিনও ১৯ বলে ১০ রান করে কাইল জেমিসনের বলে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দেন। ফলে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে।
রিশাদ-জাকেরের কার্যকরী জুটি
উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন রিশাদ হোসেন। জাকেরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে বাংলাদেশের রান তোলার গতি ধরে রাখেন তিনি। তবে ২৫ বলে ২৬ রান করে ম্যাট হেনরির বলে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
সেঞ্চুরির পথে শান্ত, তবে থামলেন ৭৭ রানে
একপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন শান্ত। তিনি ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগোলেও ব্যক্তিগত ৭৭ রানে উইলিয়াম ও’রুর্কের বলে মিড অনে টপ এজ হয়ে মিচেল ব্রেসওয়েলের হাতে ক্যাচ দেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়
দ্রুত তিন ব্যাটার আউট হওয়ায় চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
১০৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ – মুশফিক মাত্র ৫ বলে ২ রান করে ব্রেসওয়েলের বলে ডিপ মিড উইকেটে রাচিন রবীন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
১১৯ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ – মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ৪ রান করে ব্রেসওয়েলের বলে উইলিয়াম ও’রুর্কের হাতে ক্যাচ দেন।
৯৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় দল – তাওহীদ হৃদয় ২৪ বলে ৭ রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন।
এর আগে মিরাজ ১৪ বলে ১৩ রান করে উইলিয়াম ও’রুর্কের বলে মিড অনে সান্টনারের হাতে ক্যাচ দেন।
বাংলাদেশের ইনিংসের সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ – ২৩৬/৯ (৫০ ওভার)
তানজিদ – ২৪
শান্ত – ৭৭
মিরাজ – ১৩
হৃদয় – ৭
মুশফিক – ২
মাহমুদউল্লাহ – ৪
রিশাদ – ২৬
জাকের – ৪৫
বোলিং (নিউজিল্যান্ড) – ব্রেসওয়েল ৪/২৬
বাংলাদেশের ২৩৬ রানের এই সংগ্রহ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট হবে কিনা, সেটি এখন দেখার বিষয়!