চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৫ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ ১৫৯ রানে গুটিয়ে যায়, ফলে ফলো অনে পড়ে তারা আবারও ব্যাট করতে নামে। দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশাজনক ব্যাটিং প্রদর্শন করে বাংলাদেশ; মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে টেস্টের তৃতীয় দিনেই ম্যাচটি হেরে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজটিও হাতছাড়া করল বাংলাদেশ।

ম্যাচের প্রথম দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের সামনে বাংলাদেশ ছিল প্রচণ্ড চাপে। সদ্য নিযুক্ত কোচ ফিল সিমন্স বলেছিলেন যে এই পিচে বাংলাদেশও ভালো রান তুলতে পারবে, তবে তার সেই আশা মাঠে পূরণ হয়নি। তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশ মাত্র ১০ রান যোগ করতেই হারায় আরও চারটি উইকেট, যেখানে কাগিসো রাবাদা একাই শিকার করেন তিনটি উইকেট।

অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ৯ রান করে আউট হলে দলের মিডল অর্ডারে প্রথম আঘাত আসে। তার পরপরই মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নবাগত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। অঙ্কন তার অভিষেক ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন।

এরপর ক্রিজে আসেন তাইজুল ইসলাম, যিনি মুমিনুল হকের সঙ্গে মিলে নবম উইকেটে ১০৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। মুমিনুল ৮১ রানের ইনিংস খেলে মুথুসামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন, আর তাইজুল ৩০ রান করে মহারাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।

ফলো অনে পড়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও স্থিরতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। সাদমান ইসলাম ও জয় দ্রুত আউট হলে বাংলাদেশের টপ অর্ডার আবারও ধসে পড়ে। প্রথম ইনিংসে কিছুটা আশা জাগানো মুমিনুল এবার শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসেও মুথুসামি ও মহারাজের স্পিন আক্রমণে ধসে পড়ে স্বাগতিকরা।

দিনের শেষ সেশনে শান্তর ৩৬, অঙ্কনের ২৯ ও হাসান মাহমুদের অপরাজিত ৩৮ ছাড়া দলের অন্যান্য ব্যাটাররা তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ নেন পাঁচটি উইকেট এবং মুথুসামি শিকার করেন চারটি উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts