মোহাম্মদ শিহাব জেমস, রিজান হোসেন, এবং ফরিদ হাসানের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে আগে ব্যাট করে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দেয় টাইগার যুবরা। জবাবে ইকবাল হোসেন ইমন এবং আল ফাহাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৩৯ রানে অলআউট হয় ভারত।
ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। ২৪ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। প্রথম উইকেটে আল ফাহাদের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হন আইয়ুশ মোহাত্রে (১)। এরপর মারুফ মৃধার বলে ৯ রান করা বৈভব সূর্যবংশী শিহাব জেমসের তালুবন্দি হন।
তৃতীয় উইকেটে আন্দ্রে সিদ্ধার্থ এবং কেপি কার্তিকিয়া প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি। রিজান হোসেনের বলেই ২০ রান করে বোল্ড হন সিদ্ধার্থ। কেপি কার্তিকিয়া (২১) এবং নিখিল কুমার (০) দুজনকেই পরপর দুই বলে ফেরান ইকবাল হোসেন ইমন। এরপর হারভাশ পাঙ্গালিয়াকেও (৬) বিদায় করেন ইমন, যার ফলে এক প্রান্তে ভারতীয় ব্যাটিং ধসে পড়ে।
শেষদিকে হার্দিক রাজ এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তাতে ম্যাচের গতিপথ বদলায়নি। আজিজুল হাকিমের দারুণ বোলিংয়ে দুজনই বিদায় নেন। হার্দিক ২৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন। ১৩৯ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
ইকবাল হোসেন ইমন ম্যাচে নেন ৪ উইকেট, আর আল ফাহাদ শিকার করেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশের ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ জুটি
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কালাম সিদ্দিকি (১), জাওয়াদ আবরার (২০), এবং অধিনায়ক আজিজুল হাকিম (১৬) দ্রুত ফিরে যান।
এরপর মোহাম্মদ শিহাব জেমস এবং রিজান হোসেন ৬২ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন। শিহাব ৬৭ বলে ৪০ রান করেন, রিজান খেলেন ৬৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। দুজনই হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হন।
শেষদিকে ফরিদ হাসানের ৪৯ বলে ৩৯ রানের কার্যকর ইনিংসে ১৯৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ। মারুফ মৃধা অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ১১ রানে।
টানা দ্বিতীয় শিরোপা
এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। শিহাব জেমস ও রিজানের ব্যাটিং এবং ইকবাল-ফাহাদের বোলিংয়ের দাপটে আবারও প্রমাণিত হলো বাংলাদেশ যুবাদের সামর্থ্য।