চার ম্যাচে তিনটি হেরে টলমল ঢাকা ক্যাপিটালস এবার ইংল্যান্ড থেকে জেসন রয়কে উড়িয়ে এনেও নিজেদের ব্যাটিং দুর্দশা কাটাতে পারেনি। শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাত্র ১১১ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা। ২০ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরকে করতে হবে মাত্র ১১২ রান।
আবারও ব্যর্থ ঢাকার টপ অর্ডার
জেসন রয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা হাবিবুর রহমান সোহান শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। আকিফ জাভেদের লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ১৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর পাওয়ার প্লেতে কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে খেললেও জেসন রয় ১২ বলে ১৮ রান করে শেখ মেহেদীর বলে বোল্ড হন।
তানজিদ হাসান তামিম বেশ কিছু সময় ধরে ক্রিজে টিকে থেকে দলকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু সপ্তম ওভারে ইফতিখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ১৬ বলে ২০ রান করে ফিরে যান তিনি। পাওয়ার প্লে শেষে ৫৪ রান তুললেও টপ অর্ডারের পতনে চাপ বাড়তে থাকে ঢাকার।
মিডল অর্ডারের হতাশাজনক পারফরম্যান্স
মিডল অর্ডারে সাব্বির রহমান দুই রানের বেশি করতে পারেননি। খুশদিল শাহের সহজ এক বলে ডিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। অধিনায়ক থিসারা পেরেরা আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন শূন্য রানে ফেরেন। কামরুল ইসলামের গুড লেংথ ডেলিভারিতে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন তিনি।
লিটন দাসও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। ১৩ বলে ৯ রান করে নাহিদ রানার বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। একশ রানের আগেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও বিদায় নেন। ৯ বলে ১২ রান করা মোসাদ্দেক টাইমিং মিস করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
নিচের দিকে বাবুর লড়াই
শেষদিকে আলাউদ্দিন বাবু ১৬ বলে ১৬ রান করে দলের রান একশ পার করেন। তবে নাহিদ রানার স্লোয়ারে ডিপে অ্যালেক্স হেলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
রংপুর বোলারদের দাপট
রংপুর রাইডার্সের বোলারদের মধ্যে নাহিদ রানা ৩১ রানে তিনটি উইকেট তুলে নেন। আকিফ জাভেদ ১৩ রানে নেন দুটি উইকেট। খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমেদও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকার ব্যাটিং ধস ত্বরান্বিত করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১১১/১০ (১৬.৩ ওভার)
তানজিদ হাসান তামিম: ২০ (১৬)
জেসন রয়: ১৮ (১২)
আলাউদ্দিন বাবু: ১৬ (১৬)
নাহিদ রানা: ৩/২১
আকিফ জাভেদ: ২/১৩
ঢাকার পরাজয়ের ধারা ঘোচাতে ব্যাটারদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্স প্রয়োজন ছিল। তবে একের পর এক উইকেট হারিয়ে তারা ২০ ওভারও টিকতে পারেনি। রংপুর রাইডার্সের জন্য এই সহজ লক্ষ্য তাড়া করা হবে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ।