ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের সুশান্ত লোক এলাকায় ঘটেছে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। টেনিস খেলায় আগ্রহী ছিলেন রাধিকা যাদব (২৫)। জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি নিজের উদ্যোগে গড়ে তুলেছিলেন একটি টেনিস একাডেমি। তবে মেয়ের এই জীবনধারা মেনে নিতে পারেননি বাবা দীপক যাদব (৫৭)। প্রতিবেশীদের কটূক্তি ও ‘সম্মানহানির’ অজুহাতে একপর্যায়ে নিজ মেয়েকেই গুলি করে হত্যা করেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দীপক যাদব একে-পর্যন্ত পাঁচটি গুলি ছোড়েন, যার তিনটি সরাসরি রাধিকার শরীরে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাধিকাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাধিকা দীর্ঘদিন ধরে সুশান্ত লোক ফেজ-২ এলাকায় নিজস্ব টেনিস একাডেমি পরিচালনা করছিলেন। বাবার পক্ষ থেকে একাডেমি বন্ধ করার চাপ বারবার এলেও তিনি নিজের স্বপ্ন ছাড়েননি। কিন্তু এই স্বপ্নই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, দীপক যাদব পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, মেয়ের জীবনযাপন নিয়ে গ্রামের লোকেরা নানা কথা বলত, যা তিনি অপমানজনক বলে মনে করতেন। এ থেকেই ক্ষোভে মেয়েকে গুলি করেন তিনি।

রাধিকার চাচা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং দীপক যাদবের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনায় গুরুগ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, একজন উদীয়মান ক্রীড়াবিদের জীবন এভাবে নিষ্ঠুরভাবে থেমে যাবে, তা কেউ কল্পনাও করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts