এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফলাফল। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি ছিল পাকিস্তানের জন্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ। কিন্তু নিউজিল্যান্ড কোনো সুযোগই দেয়নি সালমান আলি আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানকে। জিমি নিশামের বিধ্বংসী বোলিং ও টিম সেইফার্টের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০ ওভারেই ৮ উইকেট হাতে রেখে ১২৯ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে কিউইরা।
পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়
ওয়েলিংটনের স্কাই ওভালে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই ধাক্কা খায় সফরকারীরা। দলীয় মাত্র ৫ রানেই ওপেনার হাসান নেওয়াজ শূন্য রানে ফিরে যান।
তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করা হাসান নেওয়াজ পরের দুই ম্যাচেই শূন্য ও ১ রানে আউট হয়ে অফফর্ম বজায় রাখেন। একে একে মোহাম্মদ হারিস, ওমাইর ইউসুফ, উসমান খান ও আবদুল্লাহ শফিকও ব্যর্থ হন। মাত্র ৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পাকিস্তান।
এরপর দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক সালমান আগা ও শাদাব খান। সালমান ৩৯ বলে ৫১ রান (৬ চার, ১ ছক্কা) এবং শাদাব ২০ বলে ২৮ রান (৫ চার) করেন। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল হারিস দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন (১৭ বলে ১১ রান)। নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রানেই থামে পাকিস্তান।
নিশামের দুর্দান্ত বোলিং
পাকিস্তানের ব্যাটিং ধ্বংসে বড় ভূমিকা রাখেন নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। ৪ ওভারে মাত্র ۱۵ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার।
সেইফার্টের দুর্দান্ত ইনিংস, মাত্র ১০ ওভারেই জয় কিউইদের
মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালান নিউজিল্যান্ডের ওপেনাররা। ফিন অ্যালেন ১২ বলে ২৭ রান করে বিদায় নিলেও টিম সেইফার্ট ছিলেন অবিচল।
সেইফার্ট মাত্র ৩৮ বলে ৯৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ১০টি বিশাল ছক্কা। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি, তবে অপরাজিত থেকেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
সিরিজ জয়ে আধিপত্য কিউইদের
মাত্র ১০ ওভারে ১৩১ রান তুলে ৮ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিকরা।
এবার দুই দল মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে, যেখানে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।