অ্যান্টিগার পর জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কেও বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে নাস্তানাবুদ করতে প্রস্তুত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস ইউনিট। অ্যান্টিগা টেস্টে ১৮ উইকেট শিকার করা ক্যারিবীয় পেসাররা এবারও নিজেদের ভীতি জাগানো পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চান। কেমার রোচ, জেডেন সিলস, শামার জোসেফ, আলজারি জোসেফ এবং অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রিভসের ওপর ভরসা রাখছেন সহ-অধিনায়ক জশুয়া ডি সিলভা। তাদের লক্ষ্য ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করা।
অ্যান্টিগায় পেসারদের দাপট
অ্যান্টিগা টেস্টে ঘাসে মোড়া উইকেটে পেসারদের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। পাঁচ পেসার নিয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কৌশল পুরোপুরি সফল হয়। প্রথম ইনিংসে রোচ ৪, সিলস ৫, শামার ২ এবং আলজারি ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেন। পেসারদের সম্মিলিত প্রয়াসে ২০১ রানের বড় জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্স
প্রথম ইনিংসে সেভাবে সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন আহমেদ দেখিয়েছেন আগুনঝরা বোলিং। তবে তার লড়াই ছিল একক। বাংলাদেশি পেসারদের সেই সাফল্য পুরো ম্যাচে ছড়াতে না পারায় লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে দল।
জ্যামাইকার কন্ডিশন এবং একাদশ পরিকল্পনা
অ্যান্টিগার মতো জ্যামাইকাতেও পেসারদের জন্য সহায়ক কন্ডিশন থাকলেও স্যাবিনা পার্কে উইকেট খানিকটা ভিন্ন হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ও অধিনায়ক। তবে ডি সিলভা পেস আক্রমণকেই এগিয়ে রাখছেন।
ডি সিলভা বলেন, “আমাদের পেস আক্রমণ দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফ। শামার জোসেফ এবং জেডেন সিলসও নিজেদের কাজটি ভালোভাবে করছে। তাদের ভীতি প্রতিপক্ষের চোখে স্পষ্ট। আমাদের কাজ হলো এই আক্রমণকে কাজে লাগানো এবং সিরিজ জেতা।”
স্পিনারের ভূমিকা নিয়ে ভাবনা
ডি সিলভা জানান, “প্রথম টেস্টে চার পেসার আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল। স্যাবিনা পার্কের কন্ডিশন বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করলে একাদশে স্পিনার থাকতে পারে। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী, পেস আক্রমণ প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলতে পারবে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিকল্পনা ও পারফরম্যান্সে যে আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে, তা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। জ্যামাইকার উইকেটে লড়াই করতে হলে বাংলাদেশকে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত হতে হবে।