ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাসখানেক আগে প্রথমবার আয়োজিত এই লিগে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, যিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ওয়েবসের হয়ে খেলেছিলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রিকবাজ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনসিএলের নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ডকে ইতোমধ্যে জানিয়েছে আইসিসি।

আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘন
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি লিগে খেলতে নামা একাদশে অন্তত সাতজন স্থানীয় খেলোয়াড় থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এনসিএল এই নিয়মের তোয়াক্কা করেনি। কিছু ম্যাচে একই দলে ৬-৭ জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে দেখা গেছে। এই নিয়ম ভঙ্গের কারণে আইসিসি এটিকে তাদের নীতিমালার প্রতি অবমাননা বলে চিহ্নিত করেছে।

বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা
এনসিএলের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ এনেছে আইসিসি।

মাঠ ও উইকেটের মান:

খেলার জন্য ব্যবহার করা উইকেটের অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। ভারসাম্যহীন পিচের কারণে পেসারদের স্পিন বোলিং করতে বাধ্য করা হয়। এতে ব্যাটারদের চোট এড়ানোর চেষ্টা করা হলেও টুর্নামেন্টের মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিদেশি খেলোয়াড়দের ভিসা জটিলতা:

লিগে খেলা অনেক বিদেশি খেলোয়াড় সঠিক স্পোর্টস ভিসা ছাড়াই অংশ নিয়েছেন। আইসিসির মতে, এই ভিসা পেতে বড় অঙ্কের খরচ হলেও এনসিএল তা এড়িয়ে গেছে।
অনুমতি সংক্রান্ত সমস্যা:

এনসিএল আইসিসির অনুমোদন ছাড়া অনেক নিয়মের বাইরে কাজ করেছে।
লিগের প্রচারমুখ ও অংশীদাররা
এনসিএলের প্রচারমুখ ছিলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ও ভিভিয়ান রিচার্ডস। এছাড়া অংশীদারদের মধ্যে শচীন টেন্ডুলকার ও সুনীল গাভাস্কারের মতো তারকার নাম ছিল। তবে লিগের পরিচালনায় নিয়মের ঘাটতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য তথ্য
এনসিএলের বাতিল হওয়ার কারণ মাঠের এবং মাঠের বাইরের নানান অব্যবস্থাপনা। আইসিসি এটিকে তাদের গাইডলাইনের প্রতি সম্মানহীন কাজ বলে উল্লেখ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts